স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাওনা টাকা আদায় সংকান্ত বিষয়ের জেরে এক নারী গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটি শেষ করে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে ৮নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য শামীমা আক্তার (২৮)কে মারধর করেছেন স্থানীয় দক্ষিন ফুলদী গ্রামের জাবেদ বাবুর্চী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।গ্রাম পুলিশ শামীমা আক্তার উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে।
আহত নারী গ্রাম পুলিশ সদস্য শামীমা বলেন, স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর একটি ছেলে নিয়ে অভাব অনটনে কোনো রকমের দিন কাটছিলো তার। এর মধ্যে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করে ৪০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। গত প্রায় সাত বছর আগে তার খালাতো বোন সাবিনার মাধ্যমে ডালিয়া বেগম নামে এক নারী প্রতি মাসে কিছু লাভ দেয়ার কথা বলে টাকাটি নেন । দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের বারেক ফকিরের ছেলে জাবেদ সম্পর্কে ডালিয়ার বিয়াই। টাকা নেওয়ার পরে প্রথম কয়েক মাস লাভের টাকা নিয়মিত দিলেও তারপর থেকে মাসিক লাভের টাকা দিতে গড়িমসি শুরু করে ডালিয়া। মূল টাকার জন্য ডালিয়াকে চাপ দিলেও সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এভাবে প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে যায়। সম্প্রতি গজারিয়া থানা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তিনি বিষয়টি জানালে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে টাকাটি আদায় করে দেন। এ ঘটনার পর ডালিয়া তার উপর ক্ষুব্দ ছিল। এ ঘটনায় ডালিয়ার বিয়াই জাবেদ একাধিকবার তাকে মারধর করার হুমকি দিয়েছিল।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত জাবেদ বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। পাওনা টাকা লাভসহ আদায় করার পরও আজ আমার বাসায় এসে গালিগালাজ করলে আমার স্ত্রী তার প্রতিবাদ করে। এই ঘটনায় আমার স্ত্রীকে সে মারধর করেছে। আমার পরিবারে কোনো সদস্য এই মহিলাকে মারধর করে নাই।
গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সোহেব আলী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে একজন নারী গ্রাম পুলিশ সদস্য আমাদের থানায় এসেছিল। আমরা তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা।