মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মাসেতু উত্তর থানা এলাকায় বাস, জিপ, প্রাডো ও অটোরিকার সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ (১১ জুলাই) শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খানবাড়ি চৌরাস্তায় পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা অভিমুখী খুলনা থেকে আসা ইমাদ পরিবহন ঢাকা মেট্রো ব- ১৫-৮০৬০ একটি বাস ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি প্রাডো অজ-২৬-১৮৩ ধাক্কা দেয়। এরপর একে একে একটি জিপ ঢাকা মেট্রো গ-২৯-৭৫৮৯ ও দুটি বাস ইলিশ পরিবহন ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫২৩৯ এবং গোসাইরহাট এক্সপ্রেস ঢাকা মেট্র ব-১২-০৬৪৬ কে ধাক্কা দেয়। ইমাত পরিবহনের ধাক্কা দেওয়া ইলিশ পরিবহনের একটি বাস আবার উঠে পড়ে একটি অটোরিকশার ওপর। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় একজন অটোচালক বলেন, প্রতিদিন এখানে অনেক লোকজন থাকে। আজ ভাগ্য ভালো বেশি ভিড় ছিল না। না হলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতো। স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের উচ্চগতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে করে এক্সপ্রেসওয়ে দিনে দিনে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় সড়কে বাড়ছে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের সংখা৷ পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা থেকে ওভার লোড নেয়া৷ চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব৷ ট্রাফিক ব্যবস্থা দুর্বলতা৷ মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো৷ ক্লান্তি অবস্থায় চালকদের গাড়ি চালানো৷ মটরসাইকেল চালক ও আরোহী হেলমেট ব্যবহার না করা, চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং করার প্রবল মানসিকতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, জনসচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন কিংবা রাস্তায় চলাচলের নিয়ম না মানা এসব দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করছে তারা৷
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, একটি গাড়ি ব্রেক ফেল হওয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা গাড়িগুলো উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছি। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হলেও বাকিরা সামান্য আঘাত পেয়েছে। বর্তমানে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ##