মঙ্গলবার , ১৭ জুন ২০২৫ | ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  9. কলাম
  10. কৃষি
  11. খুলনা বিভাগ
  12. খেলাধুলা
  13. গজারিয়া
  14. গণমাধ্যম
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

মুন্সীগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর ২০ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে লাপাত্তা গৃহবধু সানজানা

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
জুন ১৭, ২০২৫ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে প্রবাসী স্বামীর ২০ লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্নালংকার ও ৩ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে সানজানা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু পালিয়েছে। গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগীনি ইউনিয়নের রামশিং গ্রামের হারুন মোল্লার মেয়ে সানজানা আক্তার টঙ্গবাড়ির সোনারং টঙ্গীবাড়ি ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে তার নানা বাড়ি শাহজাহান শেখের বাড়িতেই থাকতেন। পরে একই গ্রামের সোরহাব শেখের ছেলে সোহাগ শেখ (২৫) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত ৩ বছর পূর্বে সোহাগ ইরাক চলে গেলে সানজানা সোহাগকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

পরে সোহাগ তার বাবা মাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সোহাগের বাবা মা প্রথমে রাজি না হলেও ছেলের সুখের কথা চিন্তা করে পরবর্তীতে দুই পরিবারের সম্মতিতে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কাবিন হয়। কাবিনের পর থেকে সোহাগ তার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে তার অর্জিত সকল টাকা স্ত্রী সানজানা ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনোর কাছে পাঠাতেন। এরপর গত পহেলা এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখ হতে সানজানা সোহাগের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ১৪ এপ্রিল সোহাগের শ্বাশুরী সোহাগের বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন সানজানাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এই খবর শুনে সোহাগের বাবা সানজানাদের বাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সানজানা অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। এরপর সোহাগের শাশুড়ী শাহানা বেগম স্বীকার করে সানজানা রামশিং গ্রামের নিবির নামের এক ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।

পরকিয়া প্রেমিকের সাথে সানাজানা ।

প্রবাসী স্বামী সোহাগের সাথে সানজানা

এ বিষয়ে সানজানার স্বামী ইরাক প্রবাসী সোহাগ শেখ মোবাইল ফোনে বলেন, সানজানার সাথে আমার ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমি ইরাক আসার পর থেকেই বিয়ের জন্য সানজানা আমাকে চাপ দিতে থাকে। পরে আমার বাবা মাকে সানজানার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে বললে প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। পরে আমার আত্বীয় স্বজনকে ম্যানেজ করে বাবা মাকে রাজি করাই। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের কাবিন হয়। কাবিনের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার বাবা মা আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলে। টাকা পয়সা সব তার কাছে পাঠাতে বলে। আমি তার প্রেমে এতটাই আসক্ত ছিলাম আমার উপার্জিত প্রায় ২০ লাখ টাকা সব তার কাছেই পাঠাই। এছাড়াও কাউকে না জানিয়ে ২ ভরি স্বর্নালংকার এবং মোবাইল কিনে দেই। আমার নানা শশুর শাহজাহান শেখ, মামা শশুর শাকিল, খালা শাশুড়ী শম্পা, পাখি, মুক্তা, আমার স্ত্রীর বোন সামান্তা, শাশুড়ী শাহানা বেগম আমার কাছ থেকে বিকাশ, জনতা ব্যাংক, পুবালি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে আমার থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। কখনো তাদের কিছু বলিনি আমার স্ত্রীর কথা চিন্তা করে। এতকিছুর পরেও কাউকে কিছু বলিনি যদি সে তার ভুল বুজতে পেরে আবার চলে আসে কিন্তু তার মন এতো পাষাণ সে আর ফিরলো না। এসময় তিনি  বলেন, আমি সানজানার সাথে ৮ বছর ধরে প্রেম করেছি। বিবাহ করেছি। সে আগেও আমাকে ফুসলিয়ে অনেক টাকা নিছে। এখন আমাকে নি:শ্ব করে অন্য ছেলের হাত ধরে পালিয়েছে। আমি আমার সব টাকা পয়সা ও স্বর্নালংকার ফেরত চাই। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ