প্রতি বছরের মতো এবারও ২৪ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি: প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, বিনিয়োগ করুন, বিতরণ করুন।’
মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে সোমবার আয়োজিত এই সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি স্নাতক ডাক্তার দ্বারা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে বাধ্যতামূলক বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
মুন্সীগঞ্জের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ৩৫ জন ডাক্তার এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অর্ধশতাধিক অংশগ্রহণকারী সংলাপে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মনজুরুল আলম। উক্ত পলিসি ডায়ালগের রির্সোস পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতাউল গণি উসমানি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কাজী হুমায়ুন রশিদ, ড্যাব সভাপতি ডাঃ এ.কে.এম মফিজুল ইসলাম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আহাম্মদ কবীর এবং কনসালটেন্ট (সিডিসি) ডাঃ মোঃ মামুন নেওয়াজ।
কর্মশালার সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্র্যাক মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা সমন্বয়ক মো. আল-আমিন।
ডাক্তারগণ শিশু যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা সনাক্তের হার কম থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং রোগ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন, অচিহ্নিত যক্ষ্মা রোগীরা জীবাণু ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যা নতুন রোগী বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা জরুরি।
বাংলাদেশে যক্ষ্মার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা চালু রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ৩,৬২৭ জন যক্ষ্মা রোগী নিবন্ধিত রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫৮% পুরুষ এবং ৪২% মহিলা। শিশু যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ৭২ জন এবং ৯৫% রোগী চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেছেন।
জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক জিন এক্সপার্ট মেশিন ও এক্স–রে মেশিন রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়। এসব বিষয়ে ডাক্তারদের সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলে বক্তারা জানান।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এমন উদ্যোগের মাধ্যমে যক্ষ্মা নির্মূলে জনসচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।