সুস্নাত বন্দ্যোপাধ্যায়
(হাবড়া, উত্তর-২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ )
শ্রান্ত নিঃসঙ্গ মহাকাশের নিচে,
একাকী নদীর মতো বয়ে চলে মন,
পাথরের মতো কঠিন সময়ের দেয়ালে,
তবু জন্ম নেয় এক অদ্ভুত আকুলতা,
যেখানে আগুন আর বাতাসের লুকোচুরি,
ধোঁয়াটে স্বপ্নকে জড়িয়ে ধরে কষ্ট। ((প্রথম স্তবক))
অন্তরাত্মার গহন প্রান্তরে,
একটা অদৃশ্য নদীর শব্দ,
যেখানে প্রেমের রঙ মিলায়ে যায়,
কুয়াশায় ঢাকা সকালে,
হৃদয় খোঁজে তার উত্তর। (দ্বিতীয় স্তবক)
আলোর মুখর সন্ধ্যায়,
এক বিন্দু শূন্যতা জড়িয়ে ধরে,
দূরবর্তী নক্ষত্রের মতো,
বিলীন হয়ে যায় সমস্ত কিছু। (তৃতীয় স্তবক)
দিগন্তের শেষ রেখায়,
তবু জেগে থাকে বেদনার রেখাপাত,
অজানা স্পর্শে, অজানা কণ্ঠে,
তুমি শুনতে পাও না কোনো ডাক। (চতুর্থ স্তবক)
পাহাড়ের বুক ভেদ করে,
ঝরনার মতো নামে,
অপরাজেয় যন্ত্রণা,
যেখানে প্রেম আর কষ্ট একাকার। (পঞ্চম স্তবক)
সময়ের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে,
তবু ভাঙতে থাকে ধ্বংসের প্রাচীর,
চোখের জলে ধুয়ে যায়,
অতল অন্ধকারের কণ্ঠ। (ষষ্ঠ স্তবক)
যেখানে প্রেম শুধু হৃদয়ের প্রার্থনা নয়,
যেখানে প্রেম মানে শুধু ভাঙা বুকে,
চাবুকের মতো শূন্যতা নয়,
বরং তা এক তৃষ্ণার মধুর নাম। (সপ্তম স্তবক)
অজস্র কণ্ঠের ভিড়ে,
তবু খুঁজে পাওয়া যায়,
একটি শব্দহীন স্বরলিপি,
যা বাতাসের মুকুরে,
তুমি আর আমি — দুজনেই। (অষ্টম স্তবক)
সমুদ্রের ঢেউএ ভাঙে
অজানা মাটির গন্ধ,
তবু প্রেমের একটি কুঁড়ি,
মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকে। (নবম স্তবক)
হয়তো একদিন,
তার বীজ ফেটে,
অঙ্কুর গজাবে,
দূরতম নক্ষত্রের আলোয়। (দশম স্তবক)
নক্ষত্রের সঙ্গীহীন যাত্রায়,
তুমি একাকী ভেসে গেলে,
তবু প্রেমের সুর,
সেই অজানা সমুদ্রে,
জলরঙের মতো ছড়িয়ে পড়ে। (একাদশ স্তবক)
জীবনের গলিতে গলিতে,
জড়িয়ে থাকে প্রেমের প্রলাপ,
আবেশে ভেজা বাতাসে,
একটি চুম্বনের লুপ্ত স্বপ্ন। ((দ্বাদশ স্তবক))
তুমি খুঁজতে চাও,
একটি নামহীন নদী,
যেখানে প্রেম আর মৃত্যু,
একসাথে ঘুমিয়ে থাকে,
অন্তহীনতার আলিঙ্গনে। (ত্রয়োদশ স্তবক)
প্রতিটি বেদনাহত শ্বাসে,
তবু জন্ম নেয় প্রেম,
যার রং অদৃশ্য,
যার স্পর্শ অনিবার্য,
যার পরিণতি —
এক অনন্ত সূর্যোদয়ের গান। (শেষ স্তবক)