এ ঘটনায় রবিবার (১১ মে) জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান এর বিরুদ্ধে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ আদালতে আনা হলে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত -১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সোমবার রিমান্ডের আবেদন শুনানীর তারিখ ধার্য করা সহ আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আটক নেহাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর (যোগনীঘাট) এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে। এর আগে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধে, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অপরাধে প্রেক্ষিতে মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মিলন বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা সহ পেনাল কোডের অন্যান্য ধারায় মুন্সীগঞ্জ থানায় জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় এর আগে শনিবার দুপুরে এসআই নেহাল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন পুলিশ তাকে আটক দেখায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌপুলিশ বাদি হয়ে মারধর, লঞ্চ ভাঙচুর এবং লঞ্চে লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছে। মামলায় একজনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে। নেহাল আহমেদকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসান নামের এক আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে। আগামীকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি হবে। আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।