ডেস্ক রিপোর্ট:
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মুন্সিগঞ্জ জেলায় সাধারণ, দাখিল ও ভোকেশনাল বোর্ড থেকে ৪৩৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেলায় এবার পাশের হার ৬৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো ১৩ হাজার ৯৯৬ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৯ হাজার ৪০০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৬ জন।
জেলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন। ১৭ প্রতিষ্ঠানের ১,২৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৫২ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৩৭জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন মুন্সিগঞ্জে দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৭২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন শিক্ষার্থী। জেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৭ প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কৃতকার্য হয়েছে ৮৫০ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ৩২২ জন।
সকল উপজেলার চিত্র
এসএসসি পরীক্ষায় সদর উপজেলা থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৬৭৪ জন, মোট উত্তীর্ণ ২৪৬০ জন, অকৃতকার্য ১২১৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৪ জন ও পাশের হার ৬৬.৯৫ শতাংশ।
লৌহজংয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১,৩৮৪ জন, মোট উত্তীর্ণ ৯৩৩ জন, অকৃতকার্য ৪৫১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন ও পাশের হার ৬৭.৪১ শতাংশ।
টংগিবাড়ীতে মোট পরীক্ষার্থী ১,৬৩৫ জন, মোট উত্তীর্ণ ১১২৬ জন, অকৃতকার্য ৫০৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন ও পাশের হার ৬৮.৮৬ শতাংশ।
সিরাজদিখানে মোট পরীক্ষার্থী ২,৫৫৪ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৮১৯ জন, অকৃতকার্য ৭৩৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন ও পাশের হার ৭১.২২ শতাংশ।
শ্রীনগরে মোট পরীক্ষার্থী ২,৮৯৫ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৭৩৯ জন, অকৃতকার্য ১,১৫৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন ও পাশের হার ৬০.০৬ শতাংশ।
গজারিয়ায় মোট পরীক্ষার্থী ১,৮৫৪ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৩২৩ জন, অকৃতকার্য ৫৩১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন ও পাশের হার ৭১.৩৬ শতাংশ।সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে মুন্সিগঞ্জ সদরে পাশের হার ৬৬.৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ ১২৪।
সদরে কোন বোর্ডে কত
পরীক্ষায় সদরের ২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩,৬৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মোট উত্তীর্ণ ২৪৬০ জন, অকৃতকার্য ১২১৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৪ জন ও পাশের হার ৬৬.৯৫ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় সদরে মোট ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, মোট উত্তীর্ণ হয় ১৯১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন ও পাশের হার ৭৫.২০ শতাংশ। ভোকেশনাল পরীক্ষায় সদরে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৬২ জন, মোট উত্তীর্ণ হয় ২১৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৩ জন ও পাশের হার ৮৩.২০ শতাংশ।
দাখিল পরীক্ষায় সদরে মোট পরীক্ষার্থী ২৫৪ জন, উত্তীর্ণ ১৯১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন ও পাশের হার ৭৫.২০ শতাংশ। লৌহজংয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৮০ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৩৭ জন ও পাশের হার ৭৬.১১ শতাংশ। টংগিবাড়ীতে মোট পরীক্ষার্থী ১৮৭ জন, মোট উত্তীর্ণ ১০২ জন ও পাশের হার ৫৭.৩০ শতাংশ। দাখিল পরীক্ষায় সিরাজদিখানে মোট পরীক্ষার্থী ২৭১ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৯০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন ও পাশের হার ৭০.১১ শতাংশ। শ্রীনগর মোট পরীক্ষার্থী ১৪৭ জন, মোট উত্তীর্ণ ৮৮ জন ও পাশের হার ৫৯.৮৮ শতাংশ। গজারিয়ায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪২ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৪২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন ও পাশের হার ১০০ শতাংশ
ভোকেশনালে সদরে মোট পরীক্ষার্থী ২৬২ জন, মোট উত্তীর্ণ ২১৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৩ জন ও পাশের হার ৮৩.২০ শতাংশ। লৌহজংয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৭৮ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৫৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন ও পাশের হার ৮৮.০৬ শতাংশ। টংগিবাড়ীতে মোট পরীক্ষার্থী ১৯০ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৫১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন ও পাশের হার ৭৯.৪৭ শতাংশ। সিরাজদিখানে মোট পরীক্ষার্থী ২৯৮ জন, মোট উত্তীর্ণ ২৫০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন ও পাশের হার ৮৩.৮৯ শতাংশ। শ্রীনগরে মোট পরীক্ষার্থী ৯২ জন, মোট উত্তীর্ণ ৭৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন ও পাশের হার ৮৪.৭৮ শতাংশ। গজারিয়ায় মোট পরীক্ষার্থী ২১৩ জন, মোট উত্তীর্ণ ২০০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন ও পাশের হার ৯৩.০৯ শতাংশ।
সদর উপজেলায় শীর্ষে যারা
এসএসসি পরীক্ষায় সদরে পাশের হারে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরকাদিম পৌরসভার রিকাবিবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের পাশের হার ৯১.২১ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থী ৯১ জন, মোট উত্তীর্ণ ৮৩ জন, অকৃতকার্য ৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন ও পাশের হার ৬৬.৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় হয়েছে চম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ৪৭জন, মোট উত্তীর্ণ ৪০ জন, অকৃতকার্য ৭ জন ও পাশের হার ৮৫.১১ শতাংশ। তৃতীয় হয়েছে প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহাম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭০ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৪২ জন, অকৃতকার্য ২৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪জন, ও পাশের হার ৮৩.৫৩ শতাংশ। চতুর্থ হয়েছে মো. আমিরুল হক পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট ছিল ৮৮ জন, মোট উত্তীর্ণ ৭৩ জন, অকৃতকার্য ১৫ জন ও পাশের হার ৮২.৯৫ শতাংশ। পঞ্চম হয়েছে কে কে গভঃ ইনস্টিটিউশন। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষা ছিল ৪১৮ জন, মোট উত্তীর্ণ ৩৪৪ জন, অকৃতকার্য ৭৪ জন, জিপিএ-৫-১ ২৭ ও পাশের হার ৮২.৩০ শতাংশ। ষষ্ঠ হয়েছে এভিজেএম সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৬৬ জন, মোট উত্তীর্ণ ২৯৪ জন, অকৃতকার্য ৭২ জন, জিপিএ-৫ ৪৯ ও পাশের হার ৮০.৩৩ শতাংশ। সপ্তম হয়েছে ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪০ জন, মোট উত্তীর্ণ ৩২ জন, অকৃতকার্য ৮ জন ও পাশের হার ৮০ শতাংশ। অষ্টম হয়েছে যথাক্রমে বানিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষাথ ছিল ৮৭ জন, মোট উত্তীর্ণ ৬৮ জন, অকৃতকার্য ১৯ জন, জিপিএ-৫ ২ ও পাশের হার ৭৮.১৬ শতাংশ এবং মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৭ জন, মোট উত্তীর্ণ ৬৮ জন, অকৃতকার্য ১৯ জন, জিপিএ-৫ ২ ও পাশের হার ৭৮.১৬ শতাংশ। নবম হয়েছে মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪১ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৮৫ জন, অকৃতকার্য ৫৬ জন ও পাশের হার ৭৬.৭৬ শতাংশ। দশম হয়েছে রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১৪ জন, মোট উত্তীর্ণ ১৫৫ জন, অকৃতকার্য ৫৯ জন ও পাশের হার ৭২.৪৩ শতাংশ।