বাংলাদেশিদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ বা কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলোর জন্য বাংলাদেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী, বিশেষ করে যারা শ্রমশক্তি রপ্তানি করেন।
“বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় আমাদের বলেছে কিন্তু আমরা যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারিনি,” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “মালয়েশিয়ায় তো বাংলাদেশের প্রতি কোনো বিরূপ মনোভাব নেই। আমাদের ঘর সামলাতে হবে এক্ষেত্রে। অনেকের আমার কথা পছন্দ হবে না। একটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করার রয়েছে”।
ভারত থেকে পুশ ইন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস্তবিক অর্থে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়। দুই দেশের বিদ্যমান কনস্যুলার সংলাপের মাধ্যমে এ সমস্যাকে একটা প্রক্রিয়া অনুযায়ী সুরাহা করা যায় কি না, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
“ফিজিক্যালি ঠেকানো সম্ভব নয়। তাদের সাথে চিঠি আদান প্রদান হচ্ছে। আমরা বলেছি যে এটা পদ্ধতি অনুযায়ী যেন হয়। তারা কিছু ক্ষেত্রে বলছে অনেক কেস আটকে আছে। আমরা চেক করে দেখেছি যে খুব দীর্ঘদিনের একটা তালিকায় আছে কিছু সংখ্যা। তাদের তালিকা অনুযায়ী কিছু আমরা নিয়েছিও। আমরা চিঠি পাঠাবো। কনস্যুলার মেকানিজমও ব্যবহার করার চেষ্টা করবো,” বলছিলেন মি. হোসেন।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে নমনীয়তার সুযোগ নেই। অবশ্যই আমরা শক্ত ভাষাতেই প্রতিবাদ করবো। গুলি করে সীমান্তে মেরে ফেলা হবে -এটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না। এটা পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে নেই”
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটা শাপেবর হয়েছে আমাদের জন্য। তাদের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। এটা হয়েছে একদিক থেকে ভালোই। এখান থেকে সরাসরি ফ্লাইট চলছে”।
এছাড়া শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতকে চিঠি দেয়া হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। -সূত্র: বিবিসি বাংলা