সোমবার , ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

আমার দেখা নববর্ষ

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
এপ্রিল ১৪, ২০২৫ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

ড. এ.টি.এম. এমদাদ হোসেন: নববর্ষ নিয়ে রঙ্গিন মোড়কে অনেক শুভেচ্ছা ও নূতন বছরে মঙ্গল হোক— যা এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্যবৃন্দের কামনা করেছেন। ফেসবুক বন্ধুদের নিকট হতেও নববর্ষের শুভেচছা পেয়ছি।। তা সজীবতার স্মারক। ষাটের দশকে দেখা গলিয়া/গলইয়ায় বর্তমানে কিছু সাংস্কৃতিক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিকই আছে। ছোট বেলায় চৈত্র সংক্রান্তিতে মুরব্বিদের আদেশ ছিল খর রৌদ্রময় দিনগুলোতে ঘরের বার হবে না, মারামারি কাটাকাটি করিওনা। ঘরে সাধ্যমত মজার খাবার তৈরী হত। কঁচি কাঠাল দিয়ে নিরামিষ হত, মিষ্টান্নের সংযোজন ছিলো। জামা কাপড়, বাড়িঘর, জামা কাপড় পহেলা বৈশাখের আগেই পরিস্কার করা হত। ঘরের কানায় কুমারী লতা,নিমপাতা, বিশকাটালি উদ্ভিদ ইত্যাদি ঝুলিয়ে দেয়া হত, বিশ্বাস ছিল পোকামাকড় ও বালামুসিবত দূর হবে। তখন গলিয়া খরচ খুব সামান্য পেতাম। বিকাল হলেই গলিয়ার সওদার প্রকাশ ঘটত। কেউ বাঁশের বাশী, পুরুত পুরুত শব্দে টিনের বাশি, মুখ হারমোনিয়াম, কাগজের ফানুস, মাটির পুতুল, এ নিয়ে বাড়ি বাড়ি হৈ চৈ পরে যেত।আমি আম কাটার জন্য একটা চাকু পেলেই খুশী। মেলা থেকে জিলাপি, মুরলী,খই মুরকি না আনলে কি চলে? মেলায় খর তাপে শরবত এর দোকান ছিল রমরমা। আইসক্রিম বহুত কাঙ্খিত ছিল। নাগর দোলা ও বাচ্চাদের জন্য ছিল আকর্ষণীয়।হাল খাতার প্রচলনেও ছিল আনুষ্ঠানিকতা, মিষ্টি খাওয়া ও বাঁকি টাকা পরিশোধ করা।ধা রণা করা হত, খরতাপ বিদায়ে কাল বৈশাখী আসবে। উত্তর পূর্ব কোনে কালোমেঘ দেখলেই আশার সয়ঞ্চার হতো।

“মুছে যাক গ্লানি, মুছে যাক জরা,
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা ”

 

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ