বুধবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

ব্যাংক হিসাবে ৭ হাজার নতুন কোটিপতি

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

 

 অনলাইন প্রতিবেদক:

মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ রেকর্ডের মধ্যেও বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ৬৬টি। গত তিন মাসে বেড়েছে ৩২টি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৫২০টি।

বর্তমানে দেশের ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবধারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬টি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। যখন মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না, যখন জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বী, হঠাৎ পিঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি ২০০ টাকার ওপর ওঠায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের তৈরি হয়েছে, যখন ব্যাংকিং খাতেও চলছে নৈরাজ্য, খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় ১৩২ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে, নগদ টাকার সংকটে কিছু ব্যাংক দৈনন্দিন লেনদেন করতে পারছে না, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ধার করে নগদ টাকার সরবরাহ ঠিক রাখছে; তার মধ্যেও দেশে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪।

এসব হিসাবে জমা আছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কোটি টাকার হিসাবেই জমা আছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। সেখানে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭৬০। এসব হিসাবে জমা আছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকার হিসাব ১২ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবে জমা আছে ৮৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৪টি। ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৮টি। ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৪টি।
২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ৯১৯টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে কোটিপতি ছিলেন মাত্র পাঁচজন। তিন বছর পর ১৯৭৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭-এ। পাঁচ বছর পর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে কোটিপতি ছিলেন ৯৮ জন। ১০ বছর পর ১৯৯০ সালে এ সংখ্যা ৯৪৩-এ উন্নীত হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা হয় ৫ হাজার ১৬২। ২০০৮ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ হাজার ১৬৩-তে। এরপর ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যাবৃদ্ধিতে বড় ধরনের একটা লাফ দেখা যায়। ২০১৯ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯। ২০২০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হয় ৯৩ হাজার ৮৯০। ২০২১ সালে সেই কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছায় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬-এ। তারপর দেখা গেল সর্বশেষ কোটিপতি সংখ্যাবৃদ্ধির উল্লম্ফন। অন্যদিকে সমান্তরাল ধারায় বাড়ছে দেশে মূল্যস্ফীতি; যা এখন স্মরণকালের সর্বোচ্চ। চলছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের অভিঘাত। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে কমছে সঞ্চয়। জীবন নির্বাহে বাড়ছে ভোগান্তি। ডলার সংকটের কারণে দেশে উৎপাদনব্যবস্থায় চলছে বড় ধরনের ঘাটতি। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিদিন কমছে। ডলার দর খুচরা বা কার্ব মার্কেটে ১২৩ টাকায় উঠেছে; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অর্থনীতিতে এসবের নেতিবাচক আশঙ্কার পরও নতুন কোটিপতির সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

সর্বশেষ - বাংলাদেশ