মঙ্গলবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের চার সদস্যকে গুলি করে হত্যা

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ ২:২৮ অপরাহ্ণ

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, পানছড়ির লোগাঙয়ের অনিল পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার রাতে ওই হামলা হয়।

ডেস্ক রিপোর্ট:  খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চারজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বরাতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম।

তবে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য নিয়ে জানানো হবে।

নিহতরা হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্ৰীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।

এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, পানছড়ির লোগাঙয়ের অনিল পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার রাতে ওই হামলা হয়।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সেখানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চারজন সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের ওপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।”

এ ঘটনার জন্য “গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ”কে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্বত্য শান্তিচুক্তির বিরোধিতার মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের ২৬ জুন ঢাকায় এক কনফারেন্সের মাধ্যমে ইউপিডিএফর জন্ম হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদনকারী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বা সন্তু লারমাকে কোণঠাসা করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনে ইউপিডিএফর জন্ম হয়।

সন্তু লারমার দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সমিতি থেকে তরুণদের একটি অংশ বের হয়ে ইউপিডিএফ গঠন করে। পার্বত্য এলাকার তিনটি জেলা- রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবনে ইউপিডিএফর জোরালো অবস্থান রয়েছে।

ইউপিডিএফ জন্মের ২০ বছর পর ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সংগঠনটির একটি অংশ ভেঙে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ আত্মপ্রকাশ করে।

 

 

 

 

সর্বশেষ - বাংলাদেশ