স্টাফ রিপোর্টার: টঙ্গীবাড়িতে বাদল মিজি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডা. ফারজানা আক্তার আইরিন পরপর দুইদিনে দুটি সফল নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছেন। রবিবার একজন রোগী দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশেষভাবে নরমাল ডেলিভারির জন্য হাসপাতালটিতে এসেছিলেন ।
আলট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা করে দেখা যায়, জলশক্তির পরিমাণ কম থাকলেও জড়ায়ুর মুখ কিছুটা খোলা রয়েছে। কিছু ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ডা. আইরিন শেষ পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা চালিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, ধৈর্য এবং যত্নের মাধ্যমে ছোট্ট শিশুর আগমন ঘটে।এছাড়াও
সিপাহী পাড়া স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে সোমবার সকালে একটি সিজারিয়ান সেকশনে থাকা সত্ত্বেও সফল নরমাল ডেলিভারি করেন। এতে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হওয়ার রোগী দুটির পরিবার বেশ খুশি হয়েছেন। চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গাইনি প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন
ডা. ফারজানা আক্তার আইরিন জানান, প্রথম রোগীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সর্বাগ্রে। যদিও জলশক্তি কম ছিল এবং ঝুঁকি কিছুটা ছিল তবুও ধৈর্য এবং সঠিক পর্যবেক্ষণ দিয়ে আমরা নরমাল ডেলিভারিতে সফলতা অর্জন করেছি। দ্বিতীয়
পূর্বের একটি সিজারিয়ান সেকশন থাকা সত্ত্বেও সফল নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে
আলহামদুলিল্লাহ । আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ এবং স্বাভাবিক জন্ম নিশ্চিত করা।
মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান ডাক্তার ফারজানা আক্তার আইরিন ‘সুস্থ মা ও নিরাপদ প্রসব আমাদের অঙ্গীকার, এই প্রত্যয় নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভ যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,টুইন প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, তৃতীয় ও চতুর্থ সিজারের মত জটিল কেস গুলো খুব সতর্কতার সাথে ডিল করে অর্জন করেছেন শত মায়ের আস্থা।
ডাক্তার ফারজানা আক্তার আইরিন ২০০৯ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপরতিনি বিসিএস, এবং গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যায় সর্বোচ্চ ডিগ্রী এফসিপিএস সম্পন্ন করেন।