নিজস্ব প্রতিবেদক:মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেছেন, ‘একজন শিক্ষক শুধু একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নন, তিনি সমাজেরও সকলের শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের রোল মডেল হচ্ছেন তাঁর শিক্ষক। একটি বাচ্চা যখন বিপথগামী হয়,
তাকে শোধরাবার জন্য শুধু অভিভাবক নন শিক্ষকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের সন্তানের মতো ভালোবাসেন।’ মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পর্যায়ে
সকল বিভাগীয় অফিস প্রধান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহমুদুর রহমান খন্দকার, সরকারি লৌহজং কলেজের উপাধ্যক্ষ সহিদুর রহমান শিকদার, বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান, উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশারফ হোসেন, হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, শরীফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বশিরুল ইসলাম। মতবিনিময় সভার পরে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত সমাজসেবা অধিদপ্তর মনোনীত ৪ জন প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার ও ১৯ জনকে ৬ লাখ টাকা ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মনোনীত ১২ জনের মাঝে হাঁস-মুরগীর খামার তৈরির জন্য ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ জন নারীর মাঝে সেলাইমেশিন দেওয়া হয়। এরপর জেলা প্রশাসক উপজেলার বেজগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক এবং মতবিনিময় সভার আগে জেলা প্রশাসক জান্নাত নদী ভাঙনের কবলে পড়া কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লৌহজং থানা পরিদর্শন করেন।