শনিবার , ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গজারিয়া
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম বিভাগ
  15. জাতীয়

সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত, স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
আগস্ট ৯, ২০২৫ ১:১১ পূর্বাহ্ণ

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল–আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ–এর গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। আর রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে আল–আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি পরিবারসহ থাকতেন গাজীপুর নগরের চৌরাস্তা এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি মারা গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার সকালে নিহত সাংবাদিকের বড় ভাই সেলিম মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।  সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ