বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচের শেষটায় নায়ক রিশাদ হোসেন। শেষ দুই ওভারে তার দুটি ছক্কায় স্নায়ুর কঠিন পরীক্ষায় উতরে গিয়ে বিপিএলের শিরোপা ধরে রাখল ফরচুন বরিশাল।
টানা দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল তামিম ইকবালের দল। অধিনায়কের দেখানো পথ ধরে হেঁটে সেই চ্যালেঞ্জ জিতল বরিশাল।
চিটাগং কিংসের ১৯৪ রান তারা পেরিয়ে গেল তিন বল বাকি থাকতে। রোমাঞ্চকর ফাইনালে জিতল তারা ৩ উইকেটে।
বিপিএলের ফাইনালে এতো রান এর আগে তাড়া করতে পারেনি কোনো দলই। ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এক আসর পরেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিল বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১৯৪/৩ (নাফে ৬৬, পারভেজ ৭৮*, ক্লার্ক ৪৪, শামীম ২, তালাত ০*; মেয়ার্স ৪-০-৩৫-০, আলি ৪-০-২১-১, তানভির ২-০-৪০-০, ইবাদত ৪-০-৩৫-১, নাবি ৪-০-৩৪-০, রিশাদ ২-০-২৬-০)
ফরচুন বরিশাল: ১৯.৩ ওভারে ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, হৃদয় ৩২, মালান ১, মেয়ার্স ৪৬, মুশফিক ১৬, মাহমুদউল্লাহ ৭, নাবি ৪, রিশাদ ১৮*, তানভির ০*; বিনুরা ৪-০-৪২-১, আরাফাত ২-০-১৯-০, শরিফুল ৪-০-৩৪-৪, খালেদ ৪-০-২৯-০, তালাত ৩.৩-০-৪৪-০, নাঈম ২-০-১৮-২)
তামিমের ব্যাটে শুরু, রিশাদের ব্যাটে শেষ
দুইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় যে শুরু দরকার ছিল সেটাই এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল (২৯ বলে ৫৪)। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্যে মাঝের ওভারগুলোতে দলকে টানেন কাইল মেয়ার্স (২৮ বলে ৪৬)।
১৮তম ওভারে শরিফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে তবুও সমীকরণ হয়ে গিয়েছিল কঠিন। কিন্তু বিনুরা ফার্নান্দোর পর হুসেইন তালাতকে ছক্কায় ওড়িয়ে স্নায়ুক্ষয়ী শেষের সময়টুকু পার করান রিশাদ হোসেন (৬ বলে ১৮*)।
সবার মিলিত চেষ্টায় টানা দুই আসরে শিরোপা জিতল বরিশাল। ২০১৩ আসরের পর ফের ফাইনালে হারল চিটাগং কিংস। শিরোপার জন্য তাদের অপেক্ষা আরও বাড়ল।