আসিফের পোস্ট
সভ্যতার আলো নিউজ:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে উপস্থাপিত হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর বিশেষ ড্রোন শো-তে দেখা যায়-আগে খুনি সরকারের ভয়ে মানুষ পোস্ট ডিলিট করতো এখন জনগণের ভয়ে সরকার পোস্ট ডিলিট করে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে সেই লেখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘সেল্ফ ক্রিটিক’।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে মুক্ত হওয়ার এক বছর পূর্তিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। এরই অংশ হিসেবে ‘ডু ইউ মিস মি’ নাম দিয়ে একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়। সেই ড্রোন শোয়ের একটি অংশ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুকে শেয়ার করেন।
ড্রোন ড্রামায় যা দেখা গেছে
শো-এর শুরুতে দেখা যায় একটি হাত ‘ডু ইউ মিস মি?’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছে। পরক্ষণেই আকাশে ভেসে উঠে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভয়ানক মুখাকৃতি। দানবের মতো দাঁত ও চোখ জ্বলজ্বল করা সেই মুখাকৃতি দেখে মানিক মিয়া এভিনিউতে দাঁড়িয়ে শো দেখা দর্শকরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপর আকাশে ভেসে উঠে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। যার নিচে ‘খুনিকে ছাড়া ভালো আছে বাংলাদেশ’ লেখা দেখা যায়।
ড্রোন শো-তে তুলে ধরা হয় শেখ হাসিনার কুকর্মের চিত্রও। দেখানো হয় আয়ানা ঘরের বন্দিদের লোহার খাঁচা। যার নিচে লেখা দেখা যায়, ‘আয়না ঘরের অন্ধকারে বসে আর কাউকে লিখতে হচ্ছে না ‘I Love My Family’’। এরপরেই দেখানো হয় গুম হয়ে যাওয়া সেই কাউন্সিলর একরাম ও তার সন্তানদের ছবি। যার পরক্ষণেই আকাশে ভেসে ওঠে ‘আব্বু তুমি কান্না করতেছো যে- বলে কাঁদছে না কোনো একরামের কন্যা’ লেখা। তারপরই লেখা ভেসে ওঠে, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলে মরতে হচ্ছে না কোনো আবরার ফাহাদকে’।
এরপরই ‘গণলুটতন্ত্রী সরকারের কোনো মাফিয়া লুট করছে না বাংলাদেশের ব্যাংক’ লেখার সঙ্গে একে একে দেখানো হয় শেখ হাসিনা, সালমান এফ রহমানসহ বিগত সরকারের বিভিন্নজনের মুখাবয়ব। তারপরই আকাশে ভেসে ওঠে ‘আগে খুনি সরকারের ভয়ে মানুষ পোস্ট ডিলিট করতো, এখন জনগণের ভয়ে সরকার পোস্ট ডিলিট করে’ লেখা।
এরপর একে একে আকাশে ভেসে উঠে ‘আমরা জানি, ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ পুনর্গঠনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ!’, ‘কিন্তু দুর্গম পথ বলে থামবো না আমরা বাংলাদেশ পক্ষের লোক’, ‘সবাই মিলেই আমরা গড়বো বাংলাদেশ ২.০’ লেখা।