শুক্রবার , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

মাওয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেফতার ৩

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ইয়ামিন মুন্সী

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত ৩ জনই আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মো. জামাল মোল্লা (২৩), ইয়ামিন মুন্সী (১৯) ও জব্বার শেখ (১৮)। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জব্বার শেখ

জব্বার শেখ

পুলিশ জানায়, গত রোববার জনৈক গৃহবধূ (২২) তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে চারজন যুবক কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।
পরদিন সোমবার পদ্মা নদীর পাড় হতে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারও ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

ইয়ামিন মুন্সী

ইয়ামিন মুন্সী

পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামিরা জানায় ১৬ ফেব্রæয়ারি ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাটের কোস্টগার্ডের জেডির কাছ থেকে তার স্বামীর বাড়ি উত্তর চর জানাজাত এলাকার জালাল উদ্দিন সরকার কান্দি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন বিকেল ৪টা। উত্তর চর জানাজাত এলাকাটিতে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় এই পথেই সহজ যাতায়ত। কিন্তু তখন খেয়া নৌকা ছিলনা। এ সময় অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ভিকটিমকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়। পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন এবং জব্বার ট্রলারে ওঠে। নদীতে সময় ক্ষেপন করে। পরে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদী পথে জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে যায়। নৌকায় থাকা একটি জিউবেক ও নারীর ওড়না বিছিয়ে সেখানে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষিত এই নারী কান্নাকাটি বাঁচার জন্য নানা কৌশল চলায়। তখন ধর্ষকদের আশ^স্ত করতে পারে যে এই ঘটনা কাউকে জানাবে না। পরে তারা আবার জেলে ট্রলারটিতে করে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে ধর্ষিতাকে নামিয়ে নামিয়ে দেয়। ওসি জানান, এরপর সেখান থেকে এই নারী সেফ জোনে এসে ঘটনা তার স্বামীকে জানায়। পরদিন স্বামীসহ থানায় আসে। এই নারী ঘটনার দিন তার খালা শাশুড়ির বাড়ি থেকে বাসে এসে খান বাড়ি নামে। খান বাড়ি থেকে অটো রিকশায় করে পুরাতন মাওয়া ঘাটের খেয়া ঘাটে যান।

জামাল মোল্লা

জামাল মোল্লা

ওসি জানান, এ ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রলার এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় জব্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক বাকি আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ওসি আরও জানান, পলাতক আবু বকর সিদ্দিক পরিচিত। এই নারীকে ভাবী বলে সম্বোধন করে। পরিচিত ভেবেই সরল বিশ^াসে তাদের নৌকায় উঠে গৃহবধূ।

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ

আপনার জন্য নির্বাচিত