গাজায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় একজন নারী চিকিৎসকের দশ শিশু সন্তানের মধ্যে ৯ জনই মারা গেছে।
ওই চিকিৎসক খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে কাজ করতেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ডাঃ আলা আল-নাজ্জারের স্বামী ও তাদের এক সন্তান আহত অবস্থায় বেঁচে গেছে।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিটিশ সার্জন গ্রায়েমে গ্রুম বলেছেন, এটি অসহনীয় নিষ্ঠুরতা, বহু বছর ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা একজন চিকিৎসক তার প্রায় সব সন্তান হারিয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শুক্রবার খান ইউনিসে সন্দেহভাজন কিছু জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে পোড়া দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় আরও খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। কারণ সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো লুটপাটের শিকার হওয়ায় খাদ্য বিতরণ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই গাজায় সাহায্যবাহী ট্রাকগুলো লুটের হাত থেকে রক্ষাকারীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৩ মে) হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, মানুষের মধ্যে ক্ষুধা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা এতটাই বেড়েছে যে কিছু সাহায্যবাহী ট্রাক পথে লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। তারা সতর্ক করেছে, যদি অবিলম্বে নিরাপদ ও টেকসই সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় যা চলছে তা একটি মানবিক বিপর্যয়। এখন যে পরিমাণ সহায়তা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। ভুসির গাদায় সুচ খোঁজার মতো।’

মৃতদেহ সরাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা
সূত্র: বিবিসি বাংলা ও ইন্টারনেট