শনিবার , ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

সাত মাস পর ফিরলেন বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহিদুর রহমান খান 

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
মার্চ ১৫, ২০২৫ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ রিপোর্টার:সাত মাস পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ভালোবাসায়  স্নাত হয়ে ফিরলেন বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহিদুর রহমান খান। ফুলের মালা দিয়ে তারা বরণ করে নেয় এই অধ্যক্ষকে। জানা গেছে,  একটি দুষ্টচক্র প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের জন্য সক্রিয় রয়েছে। তারা এখনো নানারকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাই  চক্রটিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি শিক্ষার্থীদের।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ওয়াহিদুর রহমান খান  বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি যোগদান করেন। এর আগে ১৮ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে ১৯৯৯ সালের ২৪ জানুয়ারি যোগদান করেন এবং শিক্ষক হিসেবে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

কলেজ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওয়াহিদুর রহমান খান উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন যা এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলে প্রশংসিত হয়।   কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর কলেজের একটি ক্ষুদ্র অংশ বহিরাগতদের সহযোগিতায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২১ আগস্ট ২০২৪  চক্রটি কলেজের ভেতরে  জোরপূর্বক ওয়াহিদুর রহমান খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। এই চক্র পরিকল্পিতভাবে কলেজের কিছু কোমলমতি শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করে যা অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে ওয়াহিদুর রহমান খান উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট ওয়াহিদুর রহমান খানের পদত্যাগপত্র স্থগিতাদেশ দেন। ফলে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল থাকেন। এই আদেশের বিপক্ষে কলেজের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। আপিলও খারিজ হয়ে যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরনের ঘটনার  শিকার অধ্যক্ষদের বেতন ভাতা চালু রাখার নির্দেশ দেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়াহিদুর রহমান খান স্বপদে বহাল আছেন বিধায় তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অ্যাডহক কমিটিকে নির্দেশ দেয়।

গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী- এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আনন্দমুখর পরিবেশে ওয়াহিদুর রহমান খানকে নতুনভাবে বরণ করে নেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওয়াহিদুর রহমান খানকে নতুন উদ্যমে কলেজটির উন্নয়ন এবং শিক্ষা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে সত্যের জয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গত সাত মাস ওয়াহিদুর রহমান খানকে কলেজের বাহিরে রেখে  নানাভাবে অপদস্ত করতে দৌড়ঝাঁপ করে স্বার্থান্বেষী মহল । কিন্তু কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।

একজন অভিভাবক জানান, নানামুখী তদন্ত করেও ওয়াহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। তাই তার ফিরে আসার পরে আমরা আমরা  লক্ষ্য করছি একটি কুচক্রী মহল এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং ব্যক্তি স্বার্থের পরিবেশ নষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।  কলেজের স্বার্থ রক্ষায় চক্রটিকে চিহ্নিত করা জরুরি হয়েপড়েছে।

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ

আপনার জন্য নির্বাচিত