সোমবার , ২ জুন ২০২৫ | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটে ব্যয় বাড়ল ৬%

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
জুন ২, ২০২৫ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে সংস্কারের দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে।

প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৬.১৮ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১২.৬৫ শতাংশের সমান।

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১১.৫৬ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৪.২৪ শতাংশের সমান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার বিকালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সংসদ না থাকায় জাতীয় সাম্প্রচার মাধ্যমে তার বাজেট বক্তৃতা প্রচার করা হয়। তার আগে উপদেষ্টা পরিষদ ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে।

সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সালেহউদ্দিন আহমেদ তখন ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এবার তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে নিজের প্রথম বাজেট দিলেন।

ইউনূস সরকার রাষ্ট্র সংস্কার আর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেও তার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন বাজেট কাঠামোতে কোনো সংস্কারের চেষ্টায় যাননি।

তার বাজেট বক্তৃতার আকার আগের চেয়ে ছোট হয়েছে, ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রস্তাবিত ব্যয়ের অংক আগের অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে সামন্য কমেছে; তবে অর্থনীতির উদ্বেগ জাগানো সূচকগুলো মাথায় রেখে সালেহউদ্দিন অংক মেলাতে চেয়েছেন পুরনো ছকেই।

গতবছর বাজেট দিতে গিয়ে ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে সেই বাজেট বাস্তবায়নের সুযোগ তার সরকার পায়নি। বাজেট কার্যকরের এক মাসের মাথায় ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

সরকার পতনের সেই আন্দোলনে সহিংসতা, কারফিউ, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খায়। থমকে যায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চাকা।

দায়িত্ব নেওয়ার পর মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে এক দিকে দুই অংকের ঘরে থাকা মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হয়েছে, অন্যদিকে অর্থনীতির ক্ষত সারাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, যদিও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানো যায়নি।

গত নয় মাসে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পক্ষ দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে, সেসবের সুরাহা করতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে সরকারকে। এর মধ্যে আইএমএফ এর ঋণের কিস্তির জন্য কঠিন শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু থেকেই ব্যয় কমানোর পথে হাঁটতে শুরু করেছিল ইউনূস সরকার। সেই অবস্থান বদলে সাহসী হওয়ার সুযোগ বা প্রয়োজন কোনোটাই ঘটেনি সালেহউদ্দিনের জন্য, কারণ নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানোর চাপ তার মাথার ওপর নেই।

সালেহউদ্দিন আহমেদ সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদেশি ঋণ পরিশোধের কথাও তাকে মাথায় রাখতে হয়েছে।

নড়বড়ে অর্থনীতির গাড়ি নিয়ে তুমুল গতি তোলার চেষ্টা না করে চাকা যেন লাইনচ্যুত না হয়, সেই চেষ্টাই করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। তার পুরনো সমীকরণের বাজেটের শিরোনাম ঠিক করেছেন: ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের তিন শূন্য ধারণা থেকে তুলে ধরে সালেহউদ্দিন তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে একটি উন্নত সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে আমরা যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বনভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ যার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন হবে এ দেশের মানুষের জীবনমানের এবং মুক্তি মিলবে বৈষম্যের দুষ্টচক্র থেকে।

“যে স্বপ্নকে ধারণ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিত রচিত হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি সুন্দর, বাসযোগ্য আবাসস্থল রেখে যেতে চাই, জনগণের জীবনযাত্রায় নিয়ে আসতে চাই এক সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের ঢেউ। আমরা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের বাজেট সাজাবার চেষ্টা করেছি।”

২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিনের সেই চাপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।

তার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

এবার পরিচালন ব্যয় (খাদ্য হিসাব, ঋণ ও অগ্রিম, অভ্যান্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং কাঠামোগত সমন্বয় বাদে) ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ৫.৭৯ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা যাবে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের ২২.৭৯ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয়ের আরও প্রায় ১৬ শতাংশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় হয়ে, যার পরিমাণ অন্তত ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।

মহামারীর ধাক্কা সামলে ২০২১ সালে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হতে শুরু করলে বেড়ে যায় আমদানি। তাতে সরকারের জমানো ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়। রপ্তানি বাড়লেও আমদানির মত অতটা না বাড়ায় এবং রেমিটেন্সের গতি ধীর হয়ে আসায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে ২০২২ সালে ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য আর জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় ডলার বাঁচাতে সরকার বিলাস পণ্য আমদানিতে লাগাম দেওয়ার পাশাপাশি কৃচ্ছ্রের পথে হাঁটতে শুরু করে।

তাতেও কাজ না হওয়ায় ডলারের যোগান বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকারকে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ঋণ চুক্তি অব্যাহত রেখেছে। আর ঋণের শর্ত হিসেবে রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের চাপ রয়েছে সরকারের ওপর।

রাজস্ব আহরণে এনবিআর বিদায়ী অর্থবছরের লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও অর্থ উপদেষ্টা আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় ৭২ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন।

নতুন অর্থবছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরার পরামর্শ দিয়েছিল আইএমএফ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ৮.৯ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন সালেহউদ্দিন। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৭.৬৬ শতাংশের বেশি। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৬৩ শতাংশের বেশি।

গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫.৫৬ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। সংশোধনে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা করা হয়।

আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ১ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৫১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৮ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৭৮ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৬ হাজার ৯১ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

এছাড়া বিদেশি অনুদান থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে বাজেট প্রস্তাবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, এ সরকারের আমলে সংশোধনে তা কমিয়ে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়, যদিও এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৮০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর অব্যাহতি যৌক্তিকীকরণসহ মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, কর জাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।”

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধনে তা ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থ উপদেষ্টা যে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৩.৬ শতাংশের সমান। ঘাটতির এই অনুপাত গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা হয়। তবে টাকা যোগানোর চাপ থাকায় আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর থেকে প্রতিবারই ঘাটতি ৪ দশমিক ৯ শতাংশের বেশি ছিল। বিদায়ী অর্থবছরে তা ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছিলেন মাহমুদ আলী। এবার সালেহউদ্দিন তা আরো কমালেন।

বরাবরের মতই বাজেট ঘাটতি পূরণে অর্থ উপদেষ্টাকে নির্ভর করতে হবে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি ঋণের ওপর। তবে চড়া সুদে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ কমাতে সালেহউদ্দিন দোর দিয়েছেন বিদেশি উৎসের ওপর।

তিনি আশা করছেন, বিদেশ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ করে ওই ঘাটতি তিনি মেটাবেন।

অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে।

বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন মাহমুদ আলী। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তা ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেই লক্ষ্যেও পৌঁছানো যায়নি। সংশোধনে তা ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কৌশলে মে মাসে তা ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

অর্থ উপদেষ্টা আশা করছেন, তার নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৫.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে। সূত্র: বিডিনিউজ

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ