সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ের কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তর ছেড়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে মিছিল বের করা হয় যা সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে শনিবারও একই দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন।
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ বলে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা সারা হলেই তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
খসড়ায় ১৯৭৯ সালের অর্থাৎ ৪৬ বছর আগের কিছু বিশেষ বিধান পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।