অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মশালা
স্টাফ রিপোর্টার
পরিকল্পিত নগরায়ন নিয়ে পরিকল্পনা ও নানা আশ্বাস কথা আর কাগজেই সীমাবদ্ধ। ঋতু বদলায়, আসে নতুন বছর, সরকার বদলায় কিন্তু পরিকল্পিত নগরায়নের বাস্তবায়ন নেই। তাই রাজধানী, বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এমনকি উপজেলা পর্যায়ে অপরিকল্পিতভাবে চলছে নগরায়ন। যথযথ মাস্টার প্ল্যান নেই আর থাকলে তার অনুসরণ নেই। সরকারি দফতরের সাথে অন্য দপ্তরের রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এটি দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় বুধাবর (১২ ফেব্রুয়ারি) , “অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে। এতে নগর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাব এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নগর জীবনের নানা দুর্গতি ফুটে উঠে।
উক্ত কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ, নগর উন্নয়ন ফোরামের সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
এতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি
মতিন আব্দুল্লাহ, রিপোর্ট তৈরির কলা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে নগরায়ন বিষয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। নগরকে ভালোভাবে ঠিক থাকার জন্য প্রকৃতির বৈচিত্র বজায় রাখা, জীবন – জীবিকা সংস্কৃতির সাথে মিলকরণ, আগামী ৫০ বছর পরের বাংলাদেশ, আরোপিত উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
নগর পরিকল্পনার পলিসিসমূহ, নগরের ক্রম বিন্যাস, নগরের কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ফলোআপ নিউজ, ঘটনা নির্ভর নিউজের প্রবণতা এবং পরিকল্পিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের অনীহা ইত্যাদি সমস্যা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রশিক্ষণার্থীগণ রিপোর্টিংয়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালাটিতে সভাপতিত্ব করেন করেন যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। আলোচনায় অংশ নেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ। প্রকল্প উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। দিনব্যাপী এই
কর্মশালায় তথ্য উপাত্ত দিয়ে বনায়ন হ্রাস, খাল-বিল, পুকুর, দিঘি এবং অনবরত কৃষি জমি ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কারণও তুলে ধরা হয়।
রাজধানী ছাড়াও বিভাগীয় ও জেলা শহরের গণমাধ্যমকর্মীও এই কর্মশালায় স্থান পায়। সেখানে আলোচনা হয় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশের কৃষি জমিতে এবং আড়িয়ল বিলে থাকা অসংখ্য হাউজিং কোম্পানির সাইন বোর্ড। আইন অমান্য করে ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণেরও অভিযোগ উঠেছে