শনিবার , ২১ জুন ২০২৫ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গজারিয়া
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম বিভাগ
  15. জাতীয়

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইরানের ড্রোন হামলা, বিস্মিত ইসরায়েল

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
জুন ২১, ২০২৫ ৬:৫১ অপরাহ্ণ

ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক হামলা চালিয়েছে। যা অনেকটা অবাক করেছে ইসরায়েলকে। হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি বিরল ঘটনা, যেখানে ইরানের একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন সফলভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, আজ শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে জর্ডান সীমান্তসংলগ্ন বেইত শেইন শহরে একটি ড্রোন আঘাত হানে। এতে একটি দুইতলা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা জানান, বিস্ফোরণে বাড়িটির পাশে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, জানালা ও দরজা উড়ে গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আডম (এমডিএ) জানিয়েছে, তারা ধ্বংসস্তূপের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। হতাহত কারও খোঁজ পায়নি।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, ইরানের দ্বিতীয় ড্রোনটি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি খোলা এলাকায় আঘাত হানে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে ইরান যে বিপুলসংখ্যক ড্রোন ছুড়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই প্রতিহত করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ছয়টি ড্রোন ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি ড্রোন আরাভা মরুভূমি ও গোলান মালভূমিসহ অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছানোর আগেই ঠেকানো হয়।

ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তার মতে, গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে ইরান হামলার জন্য হাজারের বেশি ড্রোন পাঠায়। যা লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই নিষ্ক্রিয় করা হয়।

ইরানে আজ রাতেই ইন্টারনেট সংযোগ ফেরার ঘোষণা

আজ শনিবার রাতে (স্থানীয় সময় রাত ৮টায়) আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে ইরানের ইন্টারনেট। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, প্রায় ৬২ ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন রাখার পর দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ আংশিকভাবে চালু করেছে ইরান সরকার।

কিন্তু নেটব্লকসের মতে, কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সেবা এখনও ব্যাহত হচ্ছে এবং সংযোগ এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে ফেরেনি।

বুধবার থেকে ইরানে ইন্টারনেট সমস্যার শুরু হয়। যখন ইসরায়েলের সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের “উদ্বেগ” জানিয়ে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয় দেশটির সরকার।

মূলত, ইসরায়েলের সাথে সংঘাত শুরুর পর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ইরান।

সংঘাতেরএই সময়টায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে দেশটির নাগরিকদের। অনেকেই ইরানের ভেতরে ও বাইরে তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতেও জটিলতায় পড়েন।

ইসরায়েল এই অঞ্চলকে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে- তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তুরস্কের ইস্তানবুলে শুরু হয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিও এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন। যিনি শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথেও বৈঠকে করেছেন।

ইসলামী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ এই অঞ্চলকে “সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের” দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিশ্বশক্তিগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানকে সমর্থন করার আহ্বান জানান মি. ফিদান।

তিনি বলেন, “গাজায় হামলার পাশাপাশি লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং এখন ইরানে হামলার পর এই অঞ্চলটি ‘ইসরায়েল সমস্যার’ মুখোমুখি।”

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে ইসরায়েলই সবচেয়ে বড় বাধা

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন পরমাণু আলোচনার ঠিক আগে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য হলো “আলোচনাকে নস্যাতের” চেষ্টা।

তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক কূটনৈতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় তিনি ইসরায়েলের হামলাকে “সরাসরি ডাকাতি” উল্লেখ করে এর নিন্দা জানান এবং অভিযোগ করেন যে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নেতানিয়াহু সরকার প্রমাণ করছে যে তারা “এই অঞ্চলে শান্তির পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাধা”।

তিনি আরও বলেন, “১৩ই জুনের হামলার মাধ্যমে নেতানিয়াহু সরকারের আসলে লক্ষ্য ছিল আলোচনা প্রক্রিয়াকে দুর্বল করা।”

সূত্র: ইন্টারনেট

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ