শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গজারিয়া
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম বিভাগ
  15. জাতীয়

আমাদের দেশের রোগীদের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
নভেম্বর ২৩, ২০২৪ ৯:১৩ অপরাহ্ণ

ডা. শৈবাল বসাক: আমাদের দেশের রোগীরা ঠকে খুশি হয়, ছলনায় তৃপ্ত হয়, বঞ্চিত হয়েও ভাবে, জিতেছি! তাহলে কি চিকিৎসক রোগীকে খুশি করার জন্য রোগীকে ঠকাবে? রোগীর সাথে ছলনা করবে? তাকে যথাযথ চিকিৎসা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করবে? কারণ রোগী খুশি না হলে যে তার পসার জমবে না! বরং সে সঠিক চিকিৎসাটা দিলেও রোগী অখুশি হবার কারণে তার পসার মোটেও জমার কথা নয়! তাহলে উপায়?

এক্ষেত্রে সঠিক কাজটি করলে নিজের ক্ষতি হলে হবে, তবুও রোগীর ক্ষেত্রে সঠিক কাজটিই করতে হবে, চিকিৎসকের মানসিকতা এমনই হতে হবে। তাতে তার পসার না হলে হোক। এটা রোগীর ভালোর জন্য চিকিৎসকের পক্ষ থেকে ত্যাগ। তাতে রোগী হয়তো তার সাময়িক ভালোর জন্য জাদুর মতো সুস্থ না হলেও ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হবে না। আর তাতে রোগী ভুল বুঝলেও চিকিৎসক তার অবস্থান থেকে সড়ে আসবেন না। এরকম মানসিকতাসম্পন্ন চিকিৎসকের সংখ্যা যত বেশি হবে, এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড, শিরাপথে স্যালাইন ও ভিটামিন ইত্যাদি সংবেদনশীল ঔষধের ব্যবহার তত কমবে।

কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে উপরের বিষয়টা ব্যাখ্যা করছি। জ্বরের কথাই ধরুন। জ্বর কোন রোগ নয়, জ্বর হলো বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। একেবারে মরণঘাতী ক্যান্সার থেকে শুরু করে সাধারণ সর্দি-কাশিতেও জ্বর হয়। জীবাণুঘটিত জ্বরের নব্বই শতাংশ কারণ ভাইরাস যেখানে এন্টিবায়োটিক দিলে ভাইরাস তো মরবেই না, উল্টো দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে গিয়ে দেহের ক্ষতি হবে। বলা হয়ে থাকে, ভাইরাসজনিত জ্বরে ঔষধ খেলে সারতে লাগে সাত দিন আর ঔষধ না খেলে সারতে লাগে এক সপ্তাহ। এখন এদেশের রোগীরা জ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এন্টিবায়োটিক দাবি করে! চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপত্রে না দিলে রোগী অখুশি হয়! শুধু তাই নয়, রোগী চিকিৎসকের যোগ্যতা নিয়েও সন্দিহান হয়! এ রোগী দ্বিতীয়বার অসুস্থ হলে সেই চিকিৎসকের কাছে যাবেই না! কারণ আমাদের দেশে রোগীর অসুস্থ হওয়াটাই সঠিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা নয়। তার বুদ্ধাঙ্ক, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থনৈতিক স্থিতি, অশিক্ষা-কুশিক্ষা ইত্যাদি হলো যথাযথ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার সবচেয়ে বড় নিয়ামক। সেজন্যই এদেশের প্রায় আশি শতাংশ রোগী এখনও রোগের শুরুতে হাতুড়ে, ঔষধবিক্রেতার কাছে চিকিৎসার জন্য যায়!

তাহলে কি ভাইরাস জ্বরের রোগীকে খুশি করার জন্য, চিকিৎসকের রোগী ধরে রাখার জন্য, চিকিৎসক তাকে এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিবেন?! না, তিনি তা করবেন না। সঠিক চিকিৎসা কখনো রোগীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। সেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসারেই করতে হবে। ভাইরাস জ্বরে ব্যাকটেরিয়া নাশক এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না, এটাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। এন্টিবায়োটিক না দিলে রোগী তাতে খুশি না হলে, রোগী চিকিৎসকের বদনাম করলে তাতে কিছু যায় আসে না।

আমাদের দেশের রোগীদের মস্তিষ্কের ভিতর আরেকটা অদ্ভুত চিকিৎসা পদ্ধতি যে কীভাবে আসলো, সেটা চিকিৎসকের নিজের মস্তিষ্কেই ঢোকে না! সেটা হলো, শিরাপথে স্যালাইন, ভিটামিন ইঞ্জেকশন! শারীরিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগী নিজে থেকেই এসে দাবি করে, তাকে স্যালাইন দিতে হবে! আরে! চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার সব রোগীরই আছে। কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয় করার অর্থাৎ রোগীকে কীভাবে চিকিৎসা করলে রোগীর সবচেয়ে ভালো হবে, সেটা ঠিক করার অধিকার ও যোগ্যতা শুধুই চিকিৎসকের, রোগীর নয়। অথচ আমাদের দেশের রোগীরাই চিকিৎসককে বলে দেয়, তাদেরকে কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে! দুর্বল রোগী হাসপাতালে এসেই বলে, “একটা স্যালাইন লমু!”

সত্তুর টাকার একটা লবন-চিনি-জলের স্যালাইন শিরাপথে দেয়ার চেয়ে সত্তুর টাকার দেশি ফল কিনে খেলে যে বেশি লাভ হয়, তা রোগীকে শত চেষ্টা করেও বোঝানো যায় না। শিরাপথে স্যালাইন নেয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো বললেও রোগী বোঝে না, উল্টো চিকিৎসকের উপর ক্ষেপে যায়। আসলে যে জাতি যতটুকুর যোগ্য সে জাতি ততটুকুই পায়, এতটুকু কম বা বেশি নয়।

ডা. শৈবাল বসাক

৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯৪৬ শকাব্দ, ১৪৪৬ হিজরী, ৫৩৮ চৈতন্যাব্দ, ২০৮১ বিক্রম সম্বৎ, ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, ৫১২৫ কলি।

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ

আপনার জন্য নির্বাচিত

পাঞ্জাবকে কাঁদিয়ে প্রথম শিরোপা জিতল বেঙ্গালুরু

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার তীব্র নিন্দায় ট্রাম্প

ভারতের রাজস্থান ও দিল্লিতে নাট্য সফরে যাচ্ছেন শিশির রহমান

তাপে পুড়ছে ২৮ জেলা, গরম আরো বাড়তে পারে

শ্রমিক বিক্ষোভ, শতাধিক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা

সিপাহীপাড়ায় ফয়সাল বিপ্লবের গণসংযোগ

মুন্সীগঞ্জে শহীদ পরিবারের মাঝে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান

মুন্সীগঞ্জে ব্রিলিয়্যান্ট ক্যাডেট কেজি স্কুলে দুর্ধর্ষ চুরি, উধাও ১৭টি সিলিং ফ্যান ও সিল

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেননি ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী নিহত