মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অভিযান পরিচালনা করে দুটি অবৈধ চুনা কারখানা উচ্ছেদ ও একটি কয়েল তৈরীর কারখানা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করে দিয়েছেন। রোববার দুপুর হতে বিকাল সাড়ে চারটায় পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সোনারগাঁও উপজেলার নিউটাউন মেঘনা ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকা দুটি চুনা তৈরীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় একটি কয়েল তৈরির কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়াও হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী এলাকায় অবৈধভাবে বালু ভরাটের অভিযোগ পেয়ে বালুভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
গজারিয়া থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মেঘনা ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন শরীফ। তিতাস গ্যাস মেঘনা ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকোশলী সুরজিৎ কুমার সাহা জানান, আজকের অভিযানে দুটি চুনা তৈরীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েল তৈরী কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা জানি গজারিয়া উপজেলা ব্যাপী আরো অনেক চুনা ও ঢালাই লোহা তৈরীর অবৈধ কারখানা রয়েছে যে সকল কারখানায় অবৈধ উপায়ে তিতাস গ্যাসের সংযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় স¤পদ বিনাশ করছে একটি অসাধু চক্র।
এ ছাড়াও কয়েক হাজার আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে ওই সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ করা হবে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কয়েকটি অবৈধ চুনা ও ঢালাই লোহা তৈরীর কারখানায় তিতাসের হাই প্রেসার লাইন থেকে অবৈধ উপায়ে রেগুলেটার ছাড়া সংযোগ নেয়ার কারণে গ্যাস চুরি বা অপচয় অনেক বেশী দুই বা তিন ভাট্টির একেকটি চুনা কারখানা প্রতি মাসে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাস অপচয় বা চুরি করে থাকে। উল্লেখ্য গত ৯ মার্চ অপর একটি অভিযানে দুটি চুনা কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অবৈধ সংযোগ সমূহ বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।