ভোরের আলোয় যে মেয়েটি জেগে ওঠে,
তার আঙুলে জড়ানো থাকে রোদের নরম হাসি।
নামে ডাকি না, তবু জানি—
সে চেরি ছিল, একদিন।
ওর বার্তাগুলো এখনো রয়ে যায়
হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনে,
ভাষাহীন শব্দে—
‘সুপ্রভাত’ যেন এক নরম প্রতিচ্ছবি।
আমি লিখতাম
শুধু “কেমন আছো?” নয়—
লিখতাম মনের ভিতরে লুকিয়ে রাখা ঋতুগুলোর কথা,
আর প্রতিবার শেষে
চোখ দুটো আঁকতাম আঁচড়ে আঁচড়ে।
ও বলত— “তুই অদ্ভুত!”
আমি বলতাম— “তুই অস্তিত্ব।”
এইভাবেই,
ভালোবাসা এক মেঘে রূপ নিত,
আর আমরা দুইজনে মিশে যেতাম বৃষ্টি হয়ে।
চুম্বন ছিল না কেবল ঠোঁটের খেলা—
ছিল এক মহাপৃথিবীর বিনিময়। যেখানে বারি ঝরে আর সব জননী চোখ মুছে।
আমরা জানতাম,
এই স্নেহে কেউ আশ্রয় খোঁজে,
কেউ হারিয়ে ফেলে সমুদ্রের পাড়।
ঘাসে, পাতায়, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে
মেঘের সেই মায়া,
আর জীবন যেন গোপনে বলে ওঠে—
“তোমরা কাকে চাও, যারা আলো চায় না?”
আমাদের ভালোবাসা জানে তারা—
যারা অন্ধকারে বাস করে,
যাদের ভাষা থেমে গেছে,
তবু হৃদয় কথা বলে নিঃশব্দে।
একদিন, দুইটি শব্দ থেমে যায়—
একটা গুলি, একটা চিৎকার,
আর পৃথিবী হঠাৎ বোঝে—
ভালোবাসা শুধু গান নয়।
চেরি এখন আর নেই, তবু তার নাম রয়ে গেছে
একটা নির্জন প্রভাতের ভিতর।
– কবি সুস্নাত বন্দ্যোপাধ্যায়
(বড়া, উত্তর-২৪-পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ)