স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডিবি পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা করতে এসে দেখেন ডাকাতির সময় ব্যবহৃত গাড়ি থানায়।
জানতে পারেন গাড়িটির মালিক রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।পরে গাড়ির মালিককে ডিবি পরিচয়ে ডাকাত সনাক্ত করে শ্রীনগর থানায় ডাকাতির মামলা করা হয়। ২ জুন সোমবার সকালে শ্রীনগর থানা পুলিশ সেই ডাকাতকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানাগেছে, শরিয়তপুরের জাজিরার মনির হোসেন তার ভাই বাবুল বেপারী, ভাগনে ইমরান মোড়ল, ভাতিজা নয়ন মাদবর কে নিয়ে গত ২ মে দুপুরে পুরান ঢাকার তাঁতী বাজারের স্বর্ণ পট্টির নক্ষত্র টাওয়ারের সুমন মিয়ার দোকান আসেন।
সেখানে প্রবাস থেকে পাঠানো চল্লিশ লাখ টাকা নিয়ে তারা পায়ে হেটে বাবুবাজার ব্রিজে এসে শরিয়তপুরগামী বসুমতি বাসে উঠেন। বিকাল প্রায় তিনটার দিকে বাসটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা এলাকায় আসলে একটি সিলভার রংয়ের হায়েস গাড়ি বাসটিকে ব্যারিকেট দিয়ে থামায়। এসময় ডিবি পুলিশের কটি পরা ৪/৫ জন বাসে উঠে ডিবি পরিচয়ে বাবুল বেপারী ও নয়ন মিয়াকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হায়েস গাড়িতে তুলে নেয়। ৎ
পরে তাদের কাছ থেকে দুটি স্কুল ব্যাগে রক্ষিত পচিশ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন সেট কেড়ে নেয়। বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পরে বাবুল বেপারী ও নয়নকে ছেড়ে দেয়।
গত ২৯ মে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করার সময় মাদারীপুরের শিবচর থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এমন ভিডিও দেখে বাবুল বেপারী ও নয়ন শিবচর থানায় ছুটে আসেন এবং তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনাটি পুলিশকে জানান।
এসময় শিবচর থানা পুলিশ তাদেরকে শ্রীনগর থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। শিবচর থানা পুলিশের পরামর্শে গত রবিবার সকালে বাবুল বেপারী,মনির হোসেন,ইমরান ও নয়ন শ্রীনগর থানায় মামলা করতে আসেন। এসময় শ্রীনগর থানা চত্তরে ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত সিলভার রংয়ের হায়েস গাড়ী (ঢাকা মেট্রো চ-১২-৮৯৩৭) দেখে তারা চিনে ফেলেন। পুলিশের কাছে গাড়িটির বিষয়ে তারা জানতে চান।
শ্রীনগর থানা পুলিশ জানায়,গাড়িটির মালিক মোঃ জুয়েল বিশ্বাস(৩৯)। সে অন্য একটি মামলার আসামী হিসাবে শ্রীনগর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এসময় বাবুল বেপারী ও নয়ন তাকে চিনে ফেলেন। তারা জানান, জুয়েল বিশ্বাস ডিবি পরিচয়ে ডাকাত দলের সদস্য। সে বাস থেকে বাবুল বেপারী ও নয়নকে তুলে নেওয়ার সময় ডিবির কটি পরেছিল ।
এই ঘটনায় মনির হোসেন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই মামলায় জুয়েলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে।
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালির বাঘাট পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ জাকির হোসেন বিশ্বাস।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাকিল আহমদ জানান, জুয়েল বিশ্বাস শ্রীনগর থানায় অন্য একটি মামলায় গাড়ি সহ আটক ছিল। পরে রবিবার সকালে শরিয়তপুর থেকে লোকজন এসে তাকে ডিবি পরিচয়ে ডাকাত হিসাবে সনাক্ত করে মামলা দায়ের করে। জুয়েলকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।#