স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা—কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা এ মামলায় আরও অন্তত ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ মে রাতে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি সড়কে অবস্থিত জাপার দলীয় কার্যালয়ে। জাপা অভিযোগ করে, ওই রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলার আগে বিকেলে নগরীতে জাপার একটি মিছিলেও হামলার অভিযোগ উঠে।
ঘটনার পরপরই জাপার পক্ষ থেকে মামলা করতে কোতোয়ালী থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে জাপা কর্তৃপক্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আদালত কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ও জাপার বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল জলিল বলেন, “পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতে অভিযোগ দেই। আদালত আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানকে। এ ছাড়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ ২৫ জন নামধারী এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার প্রেক্ষিতে বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জাপার নেতারা দাবি করছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাদের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।