সভ্যতার আলো ডেস্কঃ
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত ভ্রমণবই ‘ প্রত্নকথা ‘ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:), শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এসময় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, এসবি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ গোলাম রসুল, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রমণবইটি প্রকশানার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্ননগরীখ্যাত মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখা, জেলার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করা ও আগামীর প্রজন্মের কাছে এগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণবই প্রকাশ করতে পেরেছি এবং আজকে এতো সুন্দর একটি আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির মোড়ক উন্মোচন করতে পেরেছি।”
তিনি আরো বলেন, “বইটি সংরক্ষণের লক্ষ্যে ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জানার সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা, লাইব্রেরি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, রিসোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে।ভ্রমণবইটিতে মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় ৬২টি স্থানের সচিত্র বর্ণনা, অবস্থান, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ জেলা ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য একদিনে ভ্রমণ করা যায় এমন তিনটি ট্যুর প্ল্যান বা ভ্রমণ পরিকল্পনা সন্নিবেশিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে এতে জেলা এবং উপজেলার আলাদা আলাদা মানচিত্র, আবাসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে বইটির সকল তথ্য ও বর্ণনা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখিত হয়েছে। এটির অনলাইন ভার্সন জেলা প্রশাসন, মুন্সীগঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বইতে প্রদত্ত কিউআর কোড স্ক্যান করেও এটির পিডিএফ ভার্সন পড়ার উপযোগী করা হয়েছে।”
বইটি সম্পাদনা করেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব শরীফ উল্যাহ। তিনি জানান, “মুন্সীগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তার সাথে যোগ হয়েছে আরও অনেক নতুন নতুন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান। মুন্সীগঞ্জ ভ্রমণে এলে এই স্থানগুলো না দেখলে যে কোনো পর্যটকের একটা বড় অতৃপ্তি থেকেই যাবে। পর্যটক বা ভ্রমণপিপাসুদের চোখের শান্তি এবং মনের তৃপ্তির জন্য মুন্সীগঞ্জ হতে পারে একটি উত্তম পছন্দ। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনায় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি মূলত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি ভ্রমণগাইড হিসেবে কাজ করবে।বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত আমার অগ্রজ ও অনুজ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি।”